শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন [gtranslate]
Headline
📢 ** দর্শকদের জন্য বিশেষ ঘোষণা ** 📢 উন্মোচন টিভি এর পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু হয়েছে।এই পর্যায়ে সম্প্রচারের মানে কিছুটা তারতম্য হতে পারে। আপনাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ আমাদের সেবার মানোন্নয়নে একান্ত কাম্য। আমাদের এই পথচলায় সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
জামায়াত নয়, এনসিপির নেতৃত্বেই হতে পারে নতুন রাজনৈতিক জোট
/ ১৮ Time View
Update : বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:১৪ পূর্বাহ্ন
Spread the love

উন্মোচন নিউজ ডেস্কঃ

আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নতুন জোট গঠনের আলোচনা আবারও সরব হয়েছে। তবে এবার আলোচনার কেন্দ্রে জামায়াতে ইসলামী বা অন্য কোনো ইসলামপন্থি দল নয়, বরং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের দাবি, এ মাসের মধ্যেই তারা নিবন্ধন পাবে এবং সেইসাথে শুরু করবে নির্বাচনি সমঝোতার পথচলা। শর্ত একটাই—জোটে যারা যুক্ত হবে, তাদের হতে হবে বাংলাদেশপন্থি।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর রাজনীতির ময়দানে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। দেশব্যাপী পদযাত্রার মাধ্যমে দলটি দ্রুত আলোচনায় এলেও সাম্প্রতিক ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। এ প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন,
“বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) প্রতিষ্ঠার সময় খুব বেশি হয়নি। তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি, এটিই আমাদের দুর্বলতা। তবে এর মানে এই নয় যে, জাতীয় রাজনীতিতে আমরা পিছিয়ে পড়ছি।”

আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার মনে করেন,
“যে রাজনীতির মডেল আমরা উপস্থাপন করেছি, সেটি জনগণ অন্যত্র দেখেছে এবং আস্থা রেখেছে। আমাদের ছাত্র সংগঠন আরও সময় নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাবে। তবে জাতীয় রাজনীতিতে এনসিপি পিছিয়ে নেই।”

দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোট বা যুগপৎ আন্দোলনের কোনো পরিকল্পনা নেই। বরং এনসিপি এমন এক নির্বাচনি জোটে নেতৃত্ব দিতে চায়, যেখানে তাদের অবস্থান হবে চালকের আসনে। সারোয়ার তুষার বলেন,
“এ মাসেই নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। আমরা বিশ্বাস করি, একদিন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেব। তাই জোট হলেও নেতৃত্বে থাকবে এনসিপি।”

জাবেদ রাসিন যোগ করেন,
“যারা বাংলাদেশপন্থি এবং মধ্যপন্থি রাজনৈতিক শক্তি, তাদের সঙ্গে সমঝোতা সম্ভব। তবে জোটের নেতৃত্ব আমাদের হাতে থাকবে।”

বিএনপি–জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও এনসিপির নেতারা দাবি করেন, বড় দুই দলের কেউই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। বরং তারা মনে করেন, নির্বাচনের জন্য পরিবেশ তৈরি করতে হলে জুলাই সনদের আইনি বৈধতা নিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই দলটি জাতীয় সমঝোতার পথে এগোতে চায়।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page

Recent Comments

No comments to show.