
ইসলাম ও জীবন ডেস্কঃ
কিয়ামতের বিভীষিকাময় দিনে প্রত্যেক মানুষ নিজের জন্যই ব্যস্ত থাকবে, বাবা-মা, স্ত্রী সন্তান বা ঘনিষ্ঠ কেউ তখন পাশে থাকবে না। পবিত্র কুরআনে এ সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা-বাবা, স্ত্রী ও সন্তানদের কাছ থেকে। প্রত্যেকেই নিজের মঙ্গলের জন্য ব্যস্ত থাকবে। কিছু মুখ উজ্জ্বল ও প্রফুল্ল, আবার কিছু মুখে মলিনতা থাকবে।’ (সুরা আবাসা, আয়াত: ৩৪-৪০)
সেদিন বান্দার চিরস্থায়ী গন্তব্য—জান্নাত নাকি জাহান্নাম—নির্ধারণ হবে তার নিজস্ব আমলের ভিত্তিতে। এজন্য পৃথিবীতে অবস্থানের সময় মহান আল্লাহর হুকুম মেনে চলা এবং নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তিরা কিয়ামতের দিনে তাদের ফরজ ও নফল ইবাদত গ্রহণযোগ্য হবে না:
যারা কিতাবুল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো কিতাব বা লিপিখানা মান্য করে বিদআত প্রচার বা বিদআতকারীকে আশ্রয় দেয়।
যে ব্যক্তি মনিবের অনুমতি ছাড়া কোনো দাস বা গোলামকে আশ্রয় প্রদান করে।
যে কোনো মুসলিমের জন্য আশ্রয় দেওয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
হাদিসে আরও বলা হয়েছে, এ ধরনের ব্যক্তির ওপর আল্লাহ, ফেরেশতা এবং সকল মানুষের লানত থাকবে, এবং তাদের কোনো ফরজ ও নফল আমল কিয়ামতের দিনে কবুল হবে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২৯৯)
সুতরাং, কিয়ামতের দিনে সফল ও কবুল ইবাদতের জন্য ফরজ ও নফল নিয়ম পালন, বিদআতের প্রতি বিরোধিতা, এবং মুসলিমদের কল্যাণে সহযোগিতা অপরিহার্য।
কিয়ামতের দিনে ফরজ ও নফল ইবাদত গ্রহণযোগ্য হবে না এমন মানুষের তালিকা
ইসলাম ও জীবন ডেস্কঃ
কিয়ামতের বিভীষিকাময় দিনে প্রত্যেক মানুষ নিজের জন্যই ব্যস্ত থাকবে, বাবা-মা, স্ত্রী সন্তান বা ঘনিষ্ঠ কেউ তখন পাশে থাকবে না। পবিত্র কুরআনে এ সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা-বাবা, স্ত্রী ও সন্তানদের কাছ থেকে। প্রত্যেকেই নিজের মঙ্গলের জন্য ব্যস্ত থাকবে। কিছু মুখ উজ্জ্বল ও প্রফুল্ল, আবার কিছু মুখে মলিনতা থাকবে।’ (সুরা আবাসা, আয়াত: ৩৪-৪০)
সেদিন বান্দার চিরস্থায়ী গন্তব্য—জান্নাত নাকি জাহান্নাম—নির্ধারণ হবে তার নিজস্ব আমলের ভিত্তিতে। এজন্য পৃথিবীতে অবস্থানের সময় মহান আল্লাহর হুকুম মেনে চলা এবং নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তিরা কিয়ামতের দিনে তাদের ফরজ ও নফল ইবাদত গ্রহণযোগ্য হবে না:
যারা কিতাবুল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো কিতাব বা লিপিখানা মান্য করে বিদআত প্রচার বা বিদআতকারীকে আশ্রয় দেয়।
যে ব্যক্তি মনিবের অনুমতি ছাড়া কোনো দাস বা গোলামকে আশ্রয় প্রদান করে।
যে কোনো মুসলিমের জন্য আশ্রয় দেওয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
হাদিসে আরও বলা হয়েছে, এ ধরনের ব্যক্তির ওপর আল্লাহ, ফেরেশতা এবং সকল মানুষের লানত থাকবে, এবং তাদের কোনো ফরজ ও নফল আমল কিয়ামতের দিনে কবুল হবে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২৯৯)
সুতরাং, কিয়ামতের দিনে সফল ও কবুল ইবাদতের জন্য ফরজ ও নফল নিয়ম পালন, বিদআতের প্রতি বিরোধিতা, এবং মুসলিমদের কল্যাণে সহযোগিতা অপরিহার্য।