
উন্মোচন আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
দায়িত্ব গ্রহণের নয় মাস পর অবশেষে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্ডারসেক্রেটারি এলব্রিজ কোলবি এ সংক্রান্ত নথিতে সই করেছেন। হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের শীর্ষ সূত্র নিশ্চিত করেছে, শিগগিরই দুটি বড় অস্ত্র চালান পৌঁছাবে কিয়েভে। প্রতিটি চালানের মূল্য প্রায় ৫০ কোটি ডলার।
তবে এই সহায়তা আগের মতো সরাসরি অনুদান নয়। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলো ওয়াশিংটন থেকে অস্ত্র কিনে ইউক্রেনে পাঠাবে এবং খরচও বহন করবে তারাই। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন সমঝোতা “প্রায়োরিটাইজড ইউক্রেন রিকোয়ার লিস্ট (পার্ল)”–এর আওতায় ইউক্রেনের জন্য প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে। এর প্রথম ধাপের অংশ হিসেবেই পাঠানো হচ্ছে এই চালান।
শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে যুক্তরাষ্ট্রের মূল অগ্রাধিকার এবং কিয়েভকে নতুন কোনো সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে না। সেই লক্ষ্যেই গত নয় মাস রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন তিনি। তবে এখনো বড় কোনো সমাধান আসেনি।
এর মধ্যে ইউক্রেনে যে অস্ত্র সরবরাহ হয়েছে, তা সবই ছিল বাইডেন প্রশাসনের সময়ের অনুমোদিত চালান। ট্রাম্প সরকারের এ সিদ্ধান্ত তাই হচ্ছে তাদের প্রথম নিজস্ব অনুমোদন। যদিও চালানে ঠিক কোন অস্ত্র রয়েছে তা স্পষ্ট করা হয়নি, তবে এক সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এর মধ্যে উন্নতমানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে, যা ইউক্রেনকে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
সূত্র: রয়টার্স