
উন্মোচন নিউজ ডেস্ক:
চীনের সহায়তায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগ্রহী বাংলাদেশ। এই প্রকল্পের জন্য ঢাকা ইতিমধ্যে চীনের কাছে ৫৫ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে। এ বিষয়ে চীনের আগ্রহের কথা পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামকে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই পক্ষের বৈঠকে এই বিষয়গুলো আলোচনায় আসে। বৈঠকে তিস্তা প্রকল্প ছাড়াও চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশে হাসপাতাল নির্মাণসহ অন্যান্য প্রকল্প এবং চীনের গ্লোবাল গুড গভারনেন্স ইনিশিয়েটিভ (জিজিআই) সম্পর্কেও আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানান, চীন তিস্তা প্রকল্পে অত্যন্ত আগ্রহী এবং প্রকল্প যাচাইয়ের জন্য চলতি বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশে একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে।
তিস্তা প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫ কোটি ডলার, যার মধ্যে ৫৫ কোটি ডলার চীনের ঋণ এবং বাকিটা সরকারী অর্থায়ন। প্রকল্পের কাজ শুরু হবে ২০২৬ সালে এবং সমাপ্তি লক্ষ্য করা হয়েছে ২০২৯ সালে।
এর আগে ভারতেরও তিস্তা প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশের ইতিহাস রয়েছে। ২০২৪ সালে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়েত্রা বাংলাদেশ সফরে এসে এই বিনিয়োগের আগ্রহ জানিয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশের পূর্ববর্তী সরকার চেয়েছিল, এই প্রকল্প ভারতের অর্থায়নে করা হোক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তিস্তা প্রকল্পে চীনের অংশগ্রহণ কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশের কিছু নদীর উৎপত্তিস্থল চীনে এবং নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে।
তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত আগেই জানিয়েছিলেন, প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাকে দিয়ে হবে, তা ঢাকার সিদ্ধান্ত, এবং চীন সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবে।