
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নেপালে সাম্প্রতিক বিক্ষোভে লুট হওয়া সামগ্রী কেনা-বেচার বিরুদ্ধে কড়া সতর্কতা জারি করেছে দেশটির সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (সিআইবি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ৮–৯ সেপ্টেম্বরের সহিংসতায় সরকারি অফিস, বেসরকারি ভবন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক কেন্দ্র থেকে মূল্যবান নথি, ঐতিহাসিক রেকর্ড, অস্ত্র, নগদ অর্থসহ নানা জিনিসপত্র লুট হয়। এসব সামগ্রী অবৈধভাবে বাজারে বিক্রি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
জনসাধারণকে অনুরোধ করা হয়েছে, যদি কেউ এ ধরনের লুট হওয়া জিনিসের মালিক হন বা কারও কাছে দেখতে পান, তবে তা অবিলম্বে নিকটস্থ নিরাপত্তা সংস্থায় জমা দিতে। সিআইবি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, লুট হওয়া সম্পত্তি কেনা, বিক্রি বা সংরক্ষণ করলে আইনের আওতায় কঠোর শাস্তি হবে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা বা সহিংস পরিস্থিতিতে ভুল তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। কোভিড-১৯ মহামারির সময় আলোচিত ‘ইনফোডেমিক’ পরিস্থিতির মতো নেপালেও ৮ সেপ্টেম্বর থেকে নানা গুজব, বিকৃত তথ্য ও ঘৃণামূলক বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
নেপালফ্যাক্টচেক.অর্গ-এর প্রকল্প প্রধান ও সিএমআর নেপাল জার্নালিজম অ্যাকাডেমির পরিচালক উজ্জ্বল আচার্য মন্তব্য করেছেন, “গত সপ্তাহ ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য ছিল অত্যন্ত উর্বর সময়, যেখানে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।”