শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন [gtranslate]
Headline
📢 ** দর্শকদের জন্য বিশেষ ঘোষণা ** 📢 উন্মোচন টিভি এর পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু হয়েছে।এই পর্যায়ে সম্প্রচারের মানে কিছুটা তারতম্য হতে পারে। আপনাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ আমাদের সেবার মানোন্নয়নে একান্ত কাম্য। আমাদের এই পথচলায় সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভূল স্বীকারের শক্তি: নৈতিক সাহস ও অনুতপ্ত মনোভাবের শিক্ষা
/ ৫৭ Time View
Update : সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:২৩ পূর্বাহ্ন
Spread the love

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক:

ভুল করা মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। দৈনন্দিন জীবনে সবাই কখনও না কখনও ভুল করে—ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভুলের সঙ্গে স্থির থাকা এবং নিজের ভুল অস্বীকার করা নৈতিক দুর্বলতার পরিচায়ক। অপরদিকে, সাহসের সঙ্গে ভুল স্বীকার করে অনুতপ্ত হওয়া এবং ক্ষমা চাওয়া মানুষকে মানসিক ও নৈতিকভাবে শক্তিশালী করে।

ভুল স্বীকারে সামাজিক ও নৈতিক প্রভাব

যে ব্যক্তি সাহসের সঙ্গে ভুল স্বীকার করে এবং আন্তরিকভাবে ক্ষমা চায়, সে শুধুমাত্র নিজেকে নৈতিকভাবে উন্নত করে না; অন্যের মনে তার প্রতি সম্মানও বৃদ্ধি পায়। একটি অকপট স্বীকারোক্তি সাময়িকভাবে কিছুটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, তবে তার ফল দীর্ঘমেয়াদি ও ইতিবাচক।

আবু দারদা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার আবু বকর (রা.) ও উমর (রা.)-এর মধ্যে বিরোধের ঘটনা ঘটেছিল। আবু বকর (রা.) ক্ষমা প্রার্থনা করতে করতে উমরের পিছু নিলেন। যদিও উমর (রা.) প্রথমে ক্ষমা করলেন না, পরে মহানবী (সা.)-এর নির্দেশে দেখা গেল, ভুল স্বীকার করার সাহসই মানুষকে কল্যাণে প্রথম পদক্ষেপে রাখে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪৬৪০)

ইসলামী দৃষ্টিকোণ ও নবীদের জীবন

ইসলামে ভুল স্বীকার করা দুর্বলতা নয়, বরং নৈতিক শক্তির পরিচায়ক। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন:

“প্রত্যেক মানুষ ভুল করে, সর্বোত্তম ভুলকারী যে অনুতপ্ত হয় ও ক্ষমা প্রার্থনা করে।” (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২৪৯৯)


নবীদের জীবনই এই শিক্ষার উজ্জ্বল উদাহরণ। আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) শয়তানের প্ররোচনায় নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার পর অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। আল্লাহ তা কবুল করেছেন (সুরা আরাফ, আয়াত: ২৩)। ইউনুস (আ.)ও মাছের পেটে বন্দি অবস্থায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন এবং আল্লাহ তাঁকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮৭)।

সাহাবাদের উদাহরণ

মহানবী (সা.)-এর খাদেম রাবিআহ আল-আসলামি (রা.) ও আবু বকর (রা.)-এর ঘটনা আমাদের দেখায়, কীভাবে ভুল স্বীকার এবং ক্ষমা চাওয়া সামাজিক শান্তি ও নৈতিক শিক্ষার মূল। আবু বকর (রা.) তাঁর কটু কথা ও ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন, যা রাবিআহ (রা.) ও মহানবী (সা.)-এর দ্বারা প্রশংসিত হয়। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ১৬৬২৭)

ভুল অস্বীকারের বিপদ

ভুল স্বীকার না করলে, মানুষ ক্রমাগত একই ভুলের পুনরাবৃত্তিতে পড়ে এবং নৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে যায়। এটি অহংকারের জন্ম দেয়, যা ব্যক্তির ধ্বংস ডেকে আনে।

উপসংহার

ভুল স্বীকার করা দুর্বলতার চিহ্ন নয়; বরং এটি নৈতিক ও মানবিক শক্তির পরিচায়ক। নিজের ভুলকে শিক্ষার সুযোগ হিসেবে নিলে, মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে উন্নতি ও সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page

Recent Comments

No comments to show.