শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন [gtranslate]
Headline
📢 ** দর্শকদের জন্য বিশেষ ঘোষণা ** 📢 উন্মোচন টিভি এর পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু হয়েছে।এই পর্যায়ে সম্প্রচারের মানে কিছুটা তারতম্য হতে পারে। আপনাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ আমাদের সেবার মানোন্নয়নে একান্ত কাম্য। আমাদের এই পথচলায় সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ইউপি চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে ইসলামী আন্দোলন নেতার কর্মসূচি পালন, সমালোচনার ঝড়
/ ৭৪ Time View
Update : রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২:৫০ অপরাহ্ন
Spread the love

সোহাগ মিয়া, মাধবপুর প্রতিনিধিঃ

‎মাধবপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে ইউনিয়ন পর্যায়ের এক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেওয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি সুলাইমান গাজী ইউপি চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসায় স্থানীয় মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।

‎ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার (১০ আগস্ট) চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুফতি সুলাইমান গাজী। তবে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের জন্য নির্ধারিত সরকারি আসনে বসায় সচেতন মহল থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

‎এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিক হামিদুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন—
‎“দুঃখজনক হলেও সত্য, সম্মেলনে দলের এক নেতা চেয়ারম্যানের আসনে বসেন। এই চেয়ার সাধারণ কোনো চেয়ার নয়, বরং জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির জন্য বরাদ্দকৃত আসন। সেখানে অন্য কারও বসা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ ছাড়া আর কিছু নয়। বিশেষত তিনি যখন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন, তখন আরও পরিপক্ব ও সচেতন আচরণ প্রত্যাশিত ছিল।”
‎ফেসবুকে পোস্টটি ভাইরাল হলে এলাকায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

‎অভিযোগের বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাধবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি সুলাইমান গাজী জানান,
‎“আমি প্রধান অতিথি ছিলাম। আয়োজকেরা আমাকে যে চেয়ার দিয়েছেন, আমি তাতেই বসেছি। ইউনিয়ন পরিষদের লোকেরাই অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়েছেন। আমি এখানে খারাপ কিছু দেখি না।”

‎অন্যদিকে স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তা সাইফুল তুহিন বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদে সভা–সেমিনারের জন্য আলাদা হল রুম আছে। সেটা ব্যবহার করা উচিত ছিল। অন্য কারও চেয়ার ব্যবহার করা নিয়মবহির্ভূত।”

‎এ বিষয়ে চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, “হলরুম না থাকায় তাঁরা ছোট পরিসরে আমার কার্যালয়ে মিটিংয়ের অনুমতি নিয়েছিলেন। তবে চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসা ব্যক্তিগত বিবেক ও দায়িত্ববোধের বিষয়। একজন শিক্ষিত মানুষ এই আসনে বসার আগে চিন্তা করার কথা।”

‎স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে এড়িয়ে চলা প্রয়োজন, যাতে জনপ্রতিনিধির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ না হয়।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page

Recent Comments

No comments to show.